Skip to main content

Posts

কোনও নারীর একাধিক বিয়ে হয়ে থাকলে জান্নাতে সে কার সাথে অবস্থান করবে?

Recent posts

মৃত্যু যদি নির্ধারিত হয় তাহলে সুই'সাইড হারাম কেন ?

প্রশ্নটার উত্তর জানতে হলে আসুন কিছু উদাহরণে চোখ বুলিয়ে নেই। তবে উদাহরণে যাওয়ার আগে স্রষ্টা সম্পর্কে আমাদের কনসেপ্ট ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন। প্রথমে আমাদের স্রষ্টা সম্পর্কে বুঝতে হবে যে, স্রষ্টা কাকে বলে। অন্যান্য ধর্মের মতো আমাদের ইসলাম না। তারা তাদের স্রষ্টাকে সিফতের (বৈশিষ্ঠ্যের) ভিত্তিতে খন্ড বিখন্ড করে ফেলেছে। যেমন হিন্দুদের কথা যদি  বলি, তারা মনে করে সাপের হাত থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা একমাত্র মনসা দেবীর আছে, বিদ্যার জ্ঞান দিবেন স্বরস্বতী দেবী, অসুর থেকে রক্ষা করবে কালী ইত্যাদি নাউজুবিল্লাহ! এগুলো সব ভ্রান্ত মতবাদ। কিন্তু আমাদের স্রষ্টা এই রকম নন, তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তিনি সকল কিছু শুনেন ও জানেন, সকল দোষ ত্রুটি থেকে উনি পবিত্র এমনকি উনার গুনাবলী সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায় উনার ৯৯টি নাম থেকে। আমাদের উদ্দেশ্য ঐগুলো না। এই প্রশ্নটি বুঝার জন্য আমাদের যতটুকু দরকার ততটুকু নিয়ে আমরা আলোকপাত করবো ইংশা আল্লাহ। ১) উনি স্রষ্টা। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা হলো উনার এই স্রষ্টার সিফত, উনি আমাদেরকে সৃষ্টি করার আগেও ছিলো, এখনো আছে, এমনকি সকল মাখলুক ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরেও থাকবে। এমন না যে, উনি আগে

শিরকের_বাস্তবতা (যা আপনাকে জানতেই হবে)

 সম্পর্কে জানলেন না তো আপনার এ জীবন-ই বৃথা! নামাজ, রোজা, হজ্জ, দানের মতো বড় বড় ইবাদতকে এটা ধ্বংস করে দেয়। আর শেষ ফলাফল হলো স্থায়ী ভাবে জাহান্নামে অবস্থান। 🔘আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক। __(আবু দাউদ :৩২৩৬, ইফা) 🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষণ বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক। __(বুখারি:৫৩৪৬,আবু দাউদ:৩৯১০) 🔘মাজার ও কোন পীর-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক। __(সূরা জিন:২০, মুসলিম :১০৭৭, আবু দাউদ, মুওাফাকুন আলাইহি) 🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পীর-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক। __(সহীহ বুখারি: অধ্যায়:তাকদির) 🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাএার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারণা বিশ্বাস করা শিরক। __(বুখারি,আবু দাউদ :৩৯১০) 🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে “ও মা,ও বাবা” ইত্যাদি বলে এই রকম গায়েবি ডাকা শিরক। বিপদে পড়লে “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন” বলতে হয়। __(সূরা বাকারাহ:১৫৬) 🔘তোর ভবিষ্যত অন্ধকার,’তোর কপালে বহুত কষ্ট আছে, এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক। __(সূরা নমল:৬৫,আল জিন :২৫-২৬,আনাম:৫৯) 🔘হোঁচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে

যানবাহনে/বাইরে থাকাকালীন ফোনের চার্জ কেন দ্রুত শেষ হয়ে যায় ?

১০০% চার্জ আপনার বাসায় থাকলে ৬ ঘন্টায় নামে ৫০% অথচ বাইরে ঘুরাঘুরি করলে ২ ঘন্টা পরই সেটা ৬০-তে নেমে গেল ।বিষয়টা বিরক্তিকর না ! কিন্তু কেন হলো এমন !!  . আমরা যখন বাইরে ঘুরাঘুরি করি, তখন আমাদের ফোন একেক জায়গার নেটওয়ার্ক সিগন্যালের আওতায় আসে । আর এলাকাভেদে সিগন্যাল দূর্বল-শক্তিশালী হতে পারে । সেটা মোবাইল নেটওয়ার্ক হোক কিংবা বাসা-বাড়ি, রেস্ট্রন্টের WiFi হোক । বারবার এই নেটওয়ার্ক ট্রান্সফর্মেশনে ফোনকে অনেক শক্তি ব্যয় করতে হয় । বিশেষ করে, নেটওয়ার্ক যদি দূর্বল হয় তখন একে ধরতে ফোনের অতিরিক্ত শক্তি খরচ করা লাগে । এছাড়া 3G<4G<5G পর্যায়ক্রমে প্রতিটা জেনারেশনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে চার্জরেটও বেশি ক্ষয় হয় ।  . ২য় কারণ হচ্ছে, ফোন সাধারণত থাকে পকেটে, যা উষ্ণ পরিবেশ । ফোনভেদে সেরা পারফরম্যান্স দেয়ার একটা অনুকূল তাপমাত্রা রয়েছে, যেমন অাইফোনের ক্ষেত্রে ১৬-২২° সেলসিয়াস । এর বেশি হলে তা ডিসচার্জিংয়ের অনুকূল । . ৩য় কারণটা আপেক্ষিক । অনেকের ফোনে Auto Brightness চালু করা থাকে । একবার দিবালোকে, আরেকবার ছায়ায়, আরেকবার কড়া রোদে ফোন ব্যবহার করলে ফোনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দার উজ্জ্বলতা কম-বেশি করতে হয় । এট

নারীবাদীতা ও ইসলাম

 আমার স্ত্রীর সাথে পরিচয় ভার্সিটিতে। আমরা দুজনেই তখন হার্ভার্ডে পড়ি। নিজেদের আমরা তখন নারীবাদী ভাবতাম। এর কারণ ছিল। নারীর ওপর পারিবারিক সহিংসতা আর নির্যাতনের প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে দুজনেরই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছিল। কোনো নারী ঘরের ভেতরে শারীরিক কিংবা মানসিক নির্যাতনের শিকার হোক, এটা আমরা চাইতাম না। নির্যাতনের হাত থেকে নারীদের বাঁচানোর একটা শক্ত ইচ্ছা আমাদের মধ্যে কাজ করত। . আমরা মনে করতাম, এমন এক পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে যেখানে নারী যথাযথ শ্রদ্ধা, মমতা, সম্মান, ভালোবাসা এবং সহায়তা নিয়ে বাঁচতে পারবে। তার যথাযথ অধিকার পাবে। এখনো আমরা এটা বিশ্বাস করি। তখন মনে হতো, আমাদের কাঙ্ক্ষিত পৃথিবী পাবার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নারীবাদ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে উপলব্ধি করলাম নারীবাদ আসলে সমাধান না। নারীবাদ বরং আরও বড় এক সমস্যার অংশ।  . নারীবাদী দর্শনের মধ্যে মারাত্মক রকমের সমস্যা আছে। নারীবাদের ধারাগুলোর মধ্যে এক বা দুটো ধারা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক– ব্যাপারটা এমন না; বরং নারীবাদের সূচনাই হয়েছিল ধর্ম-বিরোধী আন্দোলন হিসেবে। বিশ্বাস না হলে ইতিহাসের সবচেয়ে নামিদামি নারীবাদী তাত্ত্বিকদের ল

বিবাহ পূর্ববর্তী কোন রিলেশনের কথা স্বামী /স্ত্রী কে জানানোর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

▬▬▬✪✪✪▬▬▬ উত্তর: বিজ্ঞ আলেমগণ বলেছেন: স্বামী বা স্ত্রীর জন্য তার সঙ্গীর অতীত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা নাজায়েয। অনুরূপভাবে অতীত জীবনের যে পাপাচার থেকে তওবা করে নিয়েছে সেটা স্বামী/স্ত্রীর নিকট প্রকাশ করাও বৈধ নয়।  কারণ এতে দাম্পত্য জীবনে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে। অথচ সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষয় ক্ষতি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  বরং উভয়ের দেখা উচিৎ তার সঙ্গীর বর্তমান অবস্থা। যদি বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক হয় তাহলে পারস্পারিক ভালবাসা ও সদাচরণের সাথে ঘর-সংসার করবে; অন্যথায় তালাকের মাধ্যমে পৃথক হয়ে যাবে। ▪ মনে রাখতে হবে, মানুষ যত বড় অন্যায় করুক না কেন তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সব অপরাধ সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে দেন। তাই কারও অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করা বৈধ নয় যদি সে তওবা করে নেয়। ▪এ ছাড়া হাদীসে আছে, কোন ব্যক্তি গোপনে পাপ করার পর যদি অন্যের সামনে তা প্রকাশ করে তাহলে সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাবে না। তাই স্বামী বা স্ত্রী তার সঙ্গীর অতীত জীবনের কোন পাপাচার বা অবৈধ বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা বা তা প্রকাশ করা জায়েয নয়। ▪ ইসলামের শিক্ষা হল, কেউ কারো অন্যায়ের কথা জেনে থাকলে তা গোপন করা করবে। কারও নিকট

ড. শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)

 ○ড. শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ) : ইলম ও দাওয়াহ এর ময়দানে এক উজ্জল নাম ▬▬▬▬◢◯◣▬▬▬▬ ১৯৬৯ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ধনুসাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারী মাদ্‌রাসা-ই আলীয়া ঢাকা হতে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত কামিল (হাদীস) পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তারপর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স, এম-ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি (আকিদাহ) অর্জন করেন। তিনি ‘আল কুরআনুল কারীমের অর্থানুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর’ নামে কুরআনের বৃহৎ খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন, যা কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং প্রেস সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার লিখিত, অনূদিত ও সম্পাদিত বহু সংখ্যক বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া’র আইন ও শরী‘আহ অনুষদভুক্ত আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। [উৎস: rokomari] তিনি বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষায় সাড়া জাগানো নির্ভরযোগ্য একজন বড় স্কলার। দাওয়াহর ময়দানে তার স্বক্রিয়তা ও সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী তার দাওয়াত ও ইলাম থেকে উপকৃত হচ্ছ